দেশের বাজারে
দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি দেশের ৭ কোটির বেশি শ্রমজীনির জীবনকে দুর্বিষহ
অবস্থায় ফেলেছে তা আমরা সবাই উপলব্ধি করি। শুধু চিকিৎসা, শিক্ষ বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ভাড়া বিপুল পরিমাণ বেড়েছে তাই নয় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা
পরিচালিত বিদ্যুৎ, পানির
দাম দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে। বিশ্ব বাজারের দোহাই এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির
অজুহাতে নিত্য পন্যের
দাম বাড়ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্ধারিত বেতন কাঠামো বিবেচনা করে গার্মেন্টস
শ্রমিকদের বৃদ্ধি করা জরুরী।
করোনা পরবর্তী
সময়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে
রপ্তানিকারকদের আয় বৃদ্ধির কোন সুফল শ্রমিকরা পায়নি। অথচ ডলারের বিপরীতে টাকার
অবমূল্যায়নে জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের বর্ধিত মূলোর বোঝার চাপে শ্রমিকরা পিষ্ট
হচ্ছে। প্রকৃত মজুরি অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় জাতীয় মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির
বিপরীতে শ্রমিকরা অপুষ্টি আর অনাহারে দিনযাপন করছে। এই পরিস্থিতিতে ন্যায্যতার
পরিমাপে শ্রমিকদের মজুরি পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়গুলি
বিবেচনা করা সেই বিষয় গুলি সকলের বিবেচনা করা অতি জরুরি।
যে কোন
উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শ্রমিকের শ্রমশক্তি। কারখানায় যত বেশি পুঁজি, যত উন্নতমানের কাঁচামাল এবং যত উন্নত প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হোক না
কেন, শ্রমিকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ শ্রম ছাড়া কোন উৎপাদন সম্ভব না। পুঁজিবাদী সমাজে শ্রমিকের শ্রমশক্তি আর মালিকের
পুঁজি মিলেই উৎপাদন হয়। শ্রমিক তার শ্রমশক্তি বিক্রি করে কখনও মাসিক মজুরি অথবা
কখনো পিস রেট হিসেবে। শ্রমশক্তি বিক্রিতা আর্থিকমূল্য শ্রমিক মজুরি হিসেবে গ্রহণ
করে। শ্রমিকের শ্রম শক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচের একটা অংশ মজুরি।
শ্রমিককে মজুরি
নিয়ে উৎপাদন করিয়ে নেওয়া পণ্য বাড়তি দামে বিক্রির মাধ্যমে মালিকের মুনাফা
অর্জিত হয়। শ্রমিকের মজুরি যত কম দিতে পারে মালিকের মুনাফা তত বৃদ্ধি পায়। তাই
ন্যায্য মজুরির জন্য শ্রমিককে সব সময় আন্দোলনে থাকতে হয়। শ্রমিকের এই মজুরি শুধু
তার জীবনধারণের জন্য নয় বরং উৎপাদন ও পুনরুৎপাদন এর কাজে ব্যবহৃত হয়। সুস্থ এবং
সবল শ্রমিক যেমন উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে তেমনি পরবর্তী প্রজন্মের দক্ষ
শ্রমশক্তি তাদের মাধ্যমেই আসে। শোভন মজুরি, শ্রমিকের জীবনমান,
ক্রয়ক্ষমতা, দেশের অর্থনৈতিক গতি
বৃদ্ধি করে থাকে। তাই পৃথিবীর প্রতিটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশের শ্রমিকদের গড়
মজুরি অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে বাড়তে থাকে।
বাংলাদেশ
ইতিমধ্যে একটি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। জিডিপি ৭ শতাংশের মতো করে
বাড়ছে,
মাথাপিছু আয় ২৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং এটা ক্রমবর্ধমান।
জাতীয় আয় এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালনকারী শ্রমিকদের
মজুরি তার সাথে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ হবে এটা একটি যুক্তি সঙ্গত প্রত্যাশা।
বিশ্ব
মানবাধিকারের ঘোষণায় বলা হয়েছে- প্রত্যেক কর্মীর নিজের ও পরিবারের মানবিক
মর্যাদা রক্ষায় সক্ষম এমন ন্যায্য পারিশ্রমিক পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আইএলও কনভেনশন
১৩১ এ বলা হয়েছে- সর্বনিম্ন মজুরি অবশ্যই আইন দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিক ও
তার পরিবারের প্রয়োজন, জীবনযাত্রার ব্যয়, সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা ইত্যাদিকে বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম মজুরি
নির্ধারণ করতে হবে।
শ্রমিক সংগঠন গুলোর দাবী
বাংলাদেশের ১২টি
গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ) ও
১৫টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোট ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি)
যৌথ ভাবে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি ২৩
হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের
১৫টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চ ও
০৯টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদ গার্মেন্টস শিল্পের
জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি ২৪ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি
জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের ১০টি
গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন ও গার্মেন্ট
শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র যৌথ ভাবে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি
বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের
০৭টি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের জোট বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন গার্মেন্টস
শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকা ঘোষণার
দাবি জানিয়েছেন।
নিম্নতম মজুরীর দাবী নিয়ে শ্রমিকদের মধ্য বিবভ্রান্তি
বেশ কয়েক
বছর থেকে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন জাতীয় নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকা দাবী করে আসছিল
এবং সাধারণ শ্রমিকরা নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকার দাবীর জনপ্রিয়তা পেয়েছিল,
শ্রমিকরা এই দাবীতে আন্দোলন করছিল। সাধারণ শ্রমিকরা জাতীয় নূন্যতম মজুরি কি এবং
কিভাবে জাতীয় নূন্যতম মজুরি নির্ধারন হয় তা সম্পর্কে অবগত না তাই গার্মেন্ট
শ্রমিকরা নূন্যতম মজুরি ২০ হাজার টাকার দাবী তাদের দাবী মনে করেছে কিন্তু বর্তমানে
গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা শ্রমিক সংগঠন গুলো ২২ হাজার, ২৩
হাজার, ২৪ হাজার, ২৫ হাজার টাকা আলাদা আলাদা ভাবে দাবী উত্থাপন করার কারণে সাধারণ
শ্রমিকরা বিবভ্রান্তিতে পড়েছে।
শ্রমিক
সংগঠন গুলোর কাছে আমার পরামর্শ সকল সংগঠন ও জোট সবাই মিলে আলোচনা করে একটা দাবী
উত্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ
এ্যালাইন্স এর গবেষণা
এশিয়া ফ্লোর
ওয়েজ এ্যালাইন্স এর ২০২২ সালের গবেষণা অনুযায়ী একজন গার্মেন্টস শ্রমিক
মাসে গড়ে আয় করে ১০,১২১ টাকা এবং ৪ জনের একটি শ্রমিক
পরিবার গড়ে মাসে সর্বমোট আয় করে ২৪,১৩৭ টাকা।
৪ জনের
একটি শ্রমিক পরিবার গড়ে মাসে খাবার বাবদ খরচ করে ১০,৭৫৪ টাকা এবং ঘর ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, শিক্ষা, পোশাকসহ
অন্যান্য খরচ করে ১৩,৬১৯ টাকা। ৪ জনের একটি শ্রমিক পরিবার
গড়ে মাসে সর্বমোট খরচ করে ২৪,৩৭৩ টাকা। যা ক্যালরি হিসাব
করলে প্রতিদিন ১ জনে ১,৯৫০ কিলো ক্যালরি। যেখানে তার দরকার ৩
হাজার কিলো ক্যালরি সমপরিমাণ।
প্রতিদিন একজন
শ্রমিকের ৩ হাজার কিলো ক্যালরি সমপরিমাণ খাবার প্রয়োজন হলে ৪ জনের একটি পরিবারে
গড়ে ১২ হাজার কিলো ক্যালরি প্রয়োজন। অর্থাৎ
৪ জনের একটি শ্রমিক পরিবার গড়ে মাসে খাবার বাবদ দরকার ১৯,৪১২ টাকা এবং ঘর ভাড়া, চিকিৎসা, যাতায়াত, শিক্ষা, পোশাকসহ অন্যান্য খরচ বাবদ দরকার ২৩,৭২৬ টাকা। ৪
জনের একটি শ্রমিক পরিবার গড়ে মাসে সর্বমোট আয় করা দরকার ৪৩,১৩৯ টাকা।
তার মানে ৪
জনের একটি শ্রমিক পরিবার গড়ে মাসে আয় করা দরকার ৪৩,১৩৯ টাকা কিন্তু আয় করে ২৪,১৩৭ টাকা। প্রতি মাসে ঘাটতি ১৯,০০২ টাকা।
শ্রমিকরা কিভাবে জীবন ধারণ করছে।
শিল্পাঞ্চলে
শ্রমিকরা স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে যে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকার কথা, সেখানে না থেকে তারা
পরিবার নিয়ে গাদাগাদি করে নিম্ন মানের ঘর ভাড়া করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকছেন।
যার ফলে শ্রমিক এবং শ্রমিক পরিবারের লোকজন নিরাপত্তার অভাবে থাকে ও নানান ধরনের
অসুখে তারা ভুগছেন।
শ্রমিকদের যে
ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজন তা তারা খেতে পারেননা, ফলে তারা পুষ্ঠি
হীনতায় ভুগে থাকেন। একজন শ্রমিক ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কারখানায় কাজ করার কথা থাকলেও
সে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করতে পারে। তারপর সে নানান রোগে
আক্রান্ত হয়ে কাজ থেকে বিদায় নেন।
বেশীরভাগ
শ্রমিক তার সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে গার্মেন্টসে কাজ করতে আসে তাই সন্তানের
দেখাশুনা করার জন্য যা অর্থ প্রয়োজন তা তারা দিতে পারেনা, ফলে তাদের লেখাপড়া
অল্পতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
শ্রমিকরা
সমাজের বোঝা দূর করার করার জন্য গ্রাম থেকে যুবক বয়সে গার্মেন্টসে এসছিল, কিছু দিন
পর কর্মক্ষমতা হারিয়ে সমাজের বোঝা হয়ে
গ্রামে ফিরে যাচ্ছে।
যার আর ফিরে যাওয়ার কোন জায়গা নেই তার কোন কোন শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। সম্প্রতিক সময়ে আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের আত্মহত্যার প্রবনতা বেড়েছে।
আমার প্রস্তাবনা
অন্তত তিনবেলা
খাবার,
পোশাক, মাথা গোঁজার ঠাঁই, অসুস্থ হলে চিকিৎসা, সন্তানের শিক্ষা, বৃদ্ধ বয়সের জন্য সঞ্চয়, অতিথি আপ্যায়ন ও
বিনোদন। তাই এসব বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা উচিত।
শ্রমিকদের মজুরি পর্যালোচনায় নতুন বোর্ড গঠনের সরকারি উদ্যোগ
মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণেই বেতন বাড়ানোর দাবি করে
আসছে পোশাক শ্রমিক ও তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা শ্রমিক সংগঠনগুলো। এদিকে বিদ্যমান
শ্রম আইন অনুযায়ীও, পাঁচ বছর পরপর শিল্প খাতের শ্রমিকদের
মজুরি পর্যালোচনার বিধান রয়েছে এর পরিপ্রেক্ষিতেই পোশাক খাতের শ্রমিকদের মজুরি
পর্যালোচনায় নতুন বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের উদ্যোগ
নিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্হান মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মজুরি বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার
(২৬ জানুয়ারি ২০২৩) শ্রমিক ও কারখানা
মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদের নামের তালিকা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
পোশাক
শ্রমিকদের মজুরি পর্যালোচনায় সর্বশেষ বোর্ড গঠন হয় ২০১৮ সালে ১৪ জানুয়ারি। নতুন
মজুরি কাঠামো ঘোষণা দেয়া হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। তার আগে ২০১৩ সালে সর্বনিম্ন
গ্রেডে ন্যূনতম মজুরি ছিল ৫ হাজার ৩০০ টাকা। সেটি পর্যালোচনা শেষে ২০১৮ সালে
পুনর্নির্ধারণ করা ন্যূনতম মজুরি হার ছিল ৮ হাজার টাকা। শ্রম আইন অনুসরণ করেই ২০১৮
সালের পর এ বছর ২০২৩ সালে শ্রমিকদের
ন্যূনতম মজুরি হার পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
নিম্নতম মজুরী বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধির ভূমিকা
১৯৯৪
সালে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ছিল ৯৩০ টাকা। ২০০৬ সালে সেটি বৃদ্ধি করে ১ হাজার
৬৬২ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়। ২০১০ সালের মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ৩
হাজার টাকা করা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ৫ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি কার্যকর হয়েছিল। ২০১৮ সালে ১৪ জানুয়ারি নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের পর নিম্নতম মজুরি বোর্ডের
সভায় পোশাকশিল্পের মালিকেরা মজুরি মাত্র ১ হাজার ৬০ টাকা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব
দেন। সব মিলিয়ে তাঁরা মজুরি ৬ হাজার ৩০০ টাকা দিতে চান। অন্যদিকে শ্রমিকপক্ষ ১২
হাজার ২০ টাকা মজুরি দাবি উত্থাপন করেছিল। অথচ সে সময় গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা শ্রমিক
সংগঠন গুলো ১৬ হাজার ও ১৮ হাজার টাকা দাবী জানিয়ে আসছিল। অর্থাৎ আন্দোলনকারী
শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠন গুলোর সাথে মজুরী বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধির কোন সমন্বয় ছিল
না।
তাই এবারো আমার মনে হয়েছে, কোন সংগঠন কত টাকা নিম্নতম মজুরী দাবী করলো এটা মূখ্য বিষয় না। মূখ্য বিষয় হলো মজুরী বোর্ডে কে শ্রমিক প্রতিনিধি হলো এবং সে কত টাকা নিম্নতম মজুরী দাবী করলো। তাই আমাদের উচিৎ নিম্নতম মজুরী বোর্ডে শ্রমিক প্রতিনিধি কে হচ্ছে তার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া। মজুরী বোর্ডে এমন একজন শ্রমিক প্রতিনিধি প্রেরণ করতে হবে যার সাথে আন্দোলনকারীদের সমন্বয় আছে। অর্থাৎ রাজপথে কারখানায় যে দাবীতে আন্দোলন হবে সেই দাবিই মজুরী বোর্ডেও উত্থাপিত হবে।
এই লেখাটা সবার পড়া উচিৎ
ReplyDelete