Followers

Tuesday, June 3, 2025

জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ এর একটি রোডম্যাপ

 

বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক কোন ভিত্তি নেই। তবুও যেহেতু একটা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর জরুরী মুহূর্তে বসানো হয়েছে। এই সরকার গত ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে এবং এর প্রধান উপদেষ্টা হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে মোট ২২ জন উপদেষ্টা রয়েছেন। বিভিন্ন কারনে এবং বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যের কারনে বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিতর্কিত এবং সমালোচিত এবং তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

একটি সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে, আমার প্রস্তাবিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে উদ্যোগী হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটি নিরপক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করবে এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদত্যাগ করবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন।

তফসিল অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ভোট গ্রহণ করতে হবে এবং ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করবে।

নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ এর পর ১ জানুয়ারি ২০২৬ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবেন। এর মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচিত সরকার গঠনের পথ সুগম হবে।

দেশে স্থিতিশীলতা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩১ জানুয়ারী ২০২৬ পর্যন্ত মাঠে থাকবে। এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়কালে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

এই রোডম্যাপটি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আমার ব্যক্তিগত প্রত্যাশা ও মতামতকে প্রতিফলিত করে। এটি একটি শক্তিশালী ও কার্যকরী রোডম্যাপ যা ভবিষ্যতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারে বলে আমি মনে করি।

এই রোডম্যাপ টি আমার বেক্তিগত প্রস্তাব বা মতামত।

KM Mintu

এই ধরনের সম্পর্ক কি আপনিও অনুভব করেছেন আপনার জীবনে?

 

মানুষের জীবনে এমন একজন সঙ্গী থাকা খুবই জরুরি, যিনি শুধু কথার মাধ্যমে নয়, বরং নিজেদের আচার-আচরণে এবং একে অপরের প্রতি গভীর বোধগম্যতার মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাবেন। এই সম্পর্কগুলো মুখের কথায় আবদ্ধ না থেকে হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত হয়, যেখানে প্রেম, আবেগ আর ভালোবাসা নিরবে বয়ে চলে।

এমন একজন মানুষ, যার কাছে আপনি নিজের সুখ-দুঃখের গল্প অকপটে বলতে পারবেন, যিনি আপনার অব্যক্ত আবেগ বুঝতে পারবেন, তিনিই সত্যিকারের সঙ্গী। এখানে ভালোবাসার জন্য শব্দ চয়নের প্রয়োজন হয় না; বরং তাদের নীরব উপস্থিতিই সবথেকে বড় ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। হয়তো একটি মৃদু স্পর্শ, একটি গভীর দৃষ্টি বা আপনার মন খারাপের সময়ে পাশে থাকার উষ্ণতা - এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই তাদের ভালোবাসার প্রগাঢ়তা প্রমাণ করে।

এই ধরনের সম্পর্কে প্রচণ্ড আবেগ কাজ করে। এই আবেগ কোনো হৈচৈ করা বা লোক দেখানো বিষয় নয়, বরং এটি আত্মার গভীরে প্রোথিত এক ধরনের টান, যা দুটি মানুষকে একে অপরের প্রতি নিবিড়ভাবে সংযুক্ত করে। এই বন্ধন এতই শক্তিশালী যে, একজন অন্যজনের মনের কথা অবলীলায় বুঝতে পারে, এমনকি না বলা কথাগুলোও তাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়। এই বোঝাপড়াই তাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে, যেখানে শুধু ভালোবাসা নয়, একে অপরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং নির্ভরতাও প্রকাশ পায়।

যখন এমন একজন মানুষ জীবনে আসে, তখন মনে হয় যেন মনের গভীরের কথাগুলোও একজন বুঝতে পারছেন, সেটা সত্যিই এক অসাধারণ প্রাপ্তি। এই নীরব বোঝাপড়া আর আচরণে প্রকাশ পাওয়া ভালোবাসা আমাদের জীবনে এক অন্যরকম শান্তি আর পরিপূর্ণতা নিয়ে আসে।

এই ধরনের সম্পর্ক কি আপনিও অনুভব করেছেন আপনার জীবনে?

২০২৬-২৭ অর্থবছরের বাজেট: গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রত্যাশা পূরণে স্পষ্ট ব্যর্থতা

 

বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তিগুলোর অন্যতম হলো তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্প। রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে এই খাত থেকে। এই খাতের পেছনে যাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তাঁরা হলেন আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিকেরাযাঁদের সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ, যার অধিকাংশই নারী। এই শ্রমিকরা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নেই অবদান রাখছেন না, বরং নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

বাজেট নিয়ে শ্রমিকদের প্রত্যাশা

প্রতি বছর যখন জাতীয় বাজেট ঘোষণা করা হয়, তখন শুধু কর্পোরেট খাত নয়, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষও বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাঁদের আশা থাকেবাজেটে অন্তর্ভুক্ত হবে তাদের ন্যায্য অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়টি। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও এই প্রত্যাশা ভিন্ন নয়। প্রতি বছরের মতো এবারও শ্রমিকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে ২০২৬-২৭ অর্থবছরের বাজেটে তাদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলো প্রতিফলিত হবে।

তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে ছিল

  • ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণ ও বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট ঘোষণা
  • দ্রব্যমূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মজুরি সমন্বয়ের পরিকল্পনা
  • কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা ও মাতৃত্বকালীন সুবিধা
  • দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ ও সামাজিক নিরাপত্তা
  • শ্রমিকদের জন্য আবাসন, রেশন ও শিশুশিক্ষার সুবিধা
  • নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা

বাজেট ঘোষণার পর হতাশা

কিন্তু ২০২৬-২৭ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাঝে স্পষ্ট হতাশা বিরাজ করছে। বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শ্রমিকদের কল্যাণ সংশ্লিষ্ট কোন প্রস্তাবনা বা প্রকল্পের উল্লেখ নেই বললেই চলে। অথচ গার্মেন্টস খাত থেকে প্রতিবছর যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়, তা জাতীয় অর্থনীতিতে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। এতো বড় অবদান সত্ত্বেও এই খাতের কর্মীদের জীবনমান উন্নয়নে বাজেটে দৃশ্যমান কোনো অগ্রাধিকার দেখা যায়নি।

মজুরি বৃদ্ধির কোনো ঘোষণা নেই, বরং আগের ন্যূনতম মজুরি (১২৫০০ টাকা, যা ২০২৩ সালে নির্ধারিত হয়েছিল) এখনও কার্যকর রয়েছেযা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে কার্যত অপ্রতুল। শুধু খাদ্যদ্রব্য নয়, গৃহভাড়া, পরিবহন, চিকিৎসা ও শিক্ষাসব খাতে ব্যয় বেড়েছে বহুগুণে। এক্ষেত্রে মজুরি বাড়ানোর পদক্ষেপ না নেওয়া শ্রমিকদের জীবনযাত্রাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে।

অব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাব

গার্মেন্টস শ্রমিকরা প্রায়শই ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করেন। বহু কারখানায় এখনও শ্রম আইন পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয় না। শ্রমিকদের চিকিৎসা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ডের কার্যকর ব্যবহারএইসব মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত নয়। অথচ বাজেটে এই ঘাটতিগুলো পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বা কাঠামোগত পরিকল্পনার অভাব লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া শ্রমিকদের জন্য জাতীয় পর্যায়ের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানোর দাবিও এবার বাজেটে উপেক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের কার্যকর ব্যবহার এবং নিয়মিত মনিটরিং না থাকার ফলে এই খাতটি দিন দিন গুরুত্ব হারাচ্ছে।

সম্ভাব্য প্রভাব ও করণীয়

এই উপেক্ষার ফলে শ্রমিকদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তোষ ও ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছে। তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে, যা মনোবলে আঘাত করছে এবং দীর্ঘমেয়াদে শিল্প খাতের উৎপাদনশীলতা ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ফেলতে পারে। কোনো খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য কেবল অবকাঠামোগত বিনিয়োগই যথেষ্ট নয়; মানবসম্পদের উন্নয়ন, বিশেষ করে শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

সরকার যদি এই শ্রমিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে অবহেলা করে, তবে তা অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। ভবিষ্যতে শিল্পে শ্রম অস্থিরতা, ধর্মঘট এবং বিদেশি ক্রেতাদের আস্থাহানির মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।

উপসংহার

বাংলাদেশ যদি সত্যিই একটি শ্রম-নির্ভর রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখতে চায়, তবে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করা জরুরি। বাজেট শুধু ধনী ও কর্পোরেট খাতের জন্য নয়, শ্রমজীবী জনগণের প্রতিও দায়বদ্ধ।

২০২৬-২৭ অর্থবছরের বাজেট গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য একটি বড় পরিমাণে মিসড অপারচুনিটি। আমরা আশা করি, সরকার ও নীতিনির্ধারকরা এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সংশোধিত বাজেট বা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনায় শ্রমিক কল্যাণকে অন্তর্ভুক্ত করবেন। শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই নয়, কর্মজীবী মানুষের জীবনমানের উন্নয়নও একটি উন্নত বাংলাদেশের পূর্বশর্ত।

জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ এর একটি রোডম্যাপ

  বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক কোন ভিত্তি নেই। তবুও যেহেতু একটা আন্দোলনের...