বর্তমানে বাংলাদেশে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক কোন
ভিত্তি নেই। তবুও যেহেতু একটা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের
পর জরুরী মুহূর্তে বসানো হয়েছে। এই সরকার গত ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে
শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে এবং এর প্রধান উপদেষ্টা হলেন ড.
একটি
সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে, আমার প্রস্তাবিত রোডম্যাপ
অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি
নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক
সরকার গঠনে উদ্যোগী হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটি নিরপক্ষ ও
সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করবে এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদত্যাগ করবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর ১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ জাতীয় নির্বাচনের
তফসিল ঘোষণা করবেন।
তফসিল অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ভোট গ্রহণ করতে হবে এবং ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের ফলাফল
গেজেট আকারে প্রকাশ করবে।
নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ এর পর ১ জানুয়ারি
২০২৬ নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবেন। এর
মাধ্যমে একটি নতুন নির্বাচিত সরকার গঠনের পথ সুগম হবে।
দেশে স্থিতিশীলতা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩১ জানুয়ারী ২০২৬ পর্যন্ত মাঠে থাকবে। এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়কালে
দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
এই রোডম্যাপটি
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ক্ষমতা
হস্তান্তরের জন্য আমার ব্যক্তিগত প্রত্যাশা ও মতামতকে প্রতিফলিত করে। এটি একটি
শক্তিশালী ও কার্যকরী রোডম্যাপ যা ভবিষ্যতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য
নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারে বলে আমি মনে করি।
এই রোডম্যাপ টি আমার বেক্তিগত প্রস্তাব বা মতামত।
KM Mintu
No comments:
Post a Comment